জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। রবিবার ১৭ মে রাতের প্রথমভাগে ঢাকার ভুতের গলির নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট বিগত কয়েকদিন বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্বামী, এক পুত্র, এক কন্যা আত্বীয়-স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে আজ বাদ যোহর ঢাকার ভুতের গলি জামে মসজিদে জানাজা শেষে ঢাকায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আজ এক শোক বার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা শোক বার্তায় জানান,“জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট ছিলেন একজন মহিয়সী নারী। তিনি ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন এবং  ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিপর্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন গণপরিষদের সদস্য ও প্রাক্তন সংসদ সদস্য। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব কাছে থেকে রাজনীতি করেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদান জাতি গৌরবের সাথে স্মরণ করবে।‘

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, মহান মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত মহিলাদের পূনর্বাসনের জন্য ‘নারী পূনর্বাসন বোর্ড’ গঠিত হলে মমতাজ বেগম সেই বোর্ডের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশে নারী আন্দোলন ও নারীর ক্ষ্মতায়নে তাঁর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। আমৃত্যু তিনি এদেশে নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর মৃত্য দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। সেই শুন্যস্থান পূরণ হবার নয়। “

একই সাথে অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এক শোক বার্তায় জানান, “অধ্যাপক মমতাজ বেগম এডভোকেট জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি এদেশে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। নারীর প্রকৃত উন্নয়নে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তাঁর মৃত্যুতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ গভীরভাবে শোকাহত।“