Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩১st August ২০২০

“বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক”


প্রকাশন তারিখ : 2020-08-27

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খন্দকার মোশতাক। আর পর্দার আড়ালে থেকে এই খুনি মোশতাকের এক নম্বর সহযোগী হয়ে ১৫ আগস্টে হত্যাকান্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে জিয়াউর রহমান। কমিশন গঠন করে দেশি বিদেশি চক্রের সাহায্যে সংগঠিত ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডের সকল নেপথ্য কুশীলবদের খুজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। খুনি মোশতাক ও খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসি দিতে হবে।  

 

আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

 

 

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গগণবিদারী ‘জয়বাংলা’ শ্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে পরিণত করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামীদের মাফ করে দেয়। যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ করে। ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেয়। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, ২১ আগস্ট হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী খালেদাও ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিল। এ থেকে বোঝা যায় ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই। এদেশে আপামর জনসাধারণের মূল্যায়নে ইতিহাস বিকৃতিকারী খুনিরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্তি হয়েছে।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পোড়া মাটি নিয়ে পুর্ণগঠন শুরু করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে ৯৩ ডলার থেকে ২৭৩ ডলার মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করেন। প্রবৃদ্ধি মাইনাস ১৪ শতাংশ থেকে ২.৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি পায়। স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু যখন অর্থনৈতিক মুক্তি ও সবুজ বিপ্লবের ডাক দিলেন তখনই ষড়যন্ত্রকারীরা তাকে হত্যা করে। পরাজয়ের গ্লানি মোচনের জন্য মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। সপরিবারে হত্যার কারণ ছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নেতৃত্বে যেন স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও শক্তি এদেশে আর ঘুরে দাঁড়াতে না পারে।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন ১৯৭১ সালে আপামর বাঙ্গালী অস্ত্র হাতে নিয়েছিল এবং সংস্কৃতিকর্মীদের হাতিয়ার ছিল গান, নাটক ও কবিতা। যার মাধ্যমে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী সংস্কৃতির অন্তপ্রাণ। তিনি ১৯৭৪ সালে শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য পুত্র শহীদ শেখ কামালের হাত ধরেই স্বাধীন বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চার ভিত্তি তৈরী হয়।  

 

আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাভলু, কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী শিবু রায়।