Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd অক্টোবর ২০১৭

বিশ্ব শিশু দিবসে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর আহবান - অসহায় নির্যাতিত রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের সহয়তায় এগিয়ে আসুন


প্রকাশন তারিখ : 2017-10-02

 

 

ঢাকা, ০২অক্টোবর, ২০১৭

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি বলেছেন, বাংলাদেশ  এখন আর ভিক্ষার ঝুলি নয়।  বাংলাদেশ এখন আর সাহায্য চায় না। বাংলাদেশ এখন আশ্রায় দাতা, সাহায্য দাতা।  বিশ্ব শিশু দিবস ২০১৭ এর  উদ্ভোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে  এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখার সময় রোহিঙ্গা  শরনার্থীদের  প্রসঙ্গে  প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন । প্রতিমন্ত্রী বলেন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রায় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত  স্থাপন করেছে। যা এখন  সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচেছ। রোহিঙ্গা শিশুরা এই বয়সে  যে নিষ্ঠুরতা দেখেছে  এবং  যে রকমের  মানবেতর জীবন যাপন করছে তা তাদের মানসিক  বিকাশের  এক বিরাট প্রতিবন্ধকতা।  তারা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।  রোহিঙ্গা  শিশুদের  সহয়তায়  সমাজের সর্ব স্তরের  মানুষকে  এগিয়ে আসতে  তিনি আহবান জানান।

বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর  চেয়ারম্যান কথা সাহিত্যিক  সেলিনা  হোসেনের সভাপতিত্বে  এই উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, ইউনিসেফ বাংলাদেশের  পরিকল্পনা শাখার  প্রধান  জনাব কার্লোস একাস্ত ।  স্বাগত বক্তব্য রাখেন  বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর  পরিচালক  আনজির লিটন।

বিশ্ব দিবস ২০১৭ এর প্রতিপাদ্য বিষয়ঃ শিশু পেলে অধিকার, খুলবে নতুন বিশ্বদ্বার ।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকার সর্বাত্বক  চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু অভিভাবকদের অসচেতনতার কারনে অনেক ক্ষেত্রে শিশু অধিকার বেশী লংঘিত হয়। কিছু ক্ষেত্রে পিতা বা মা একাধিক বিয়ে করে এবং তাদের সন্তানদের  খোজ-খবর  রাখেন না সেই সুযোগে  অপরাধীরা  তাদের ব্যবহার করে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন বাংলাদেশকে অবশ্যই বাল্য বিবাহ মুক্ত করা হবে। বাল্য বিবাহের  কারন হল দরিদ্রতা ও নিরাপত্তাহীনতা। সরকার এই দিকে  লক্ষ রেখে  কাজ করছে।  নাছিমা বেগম এনডিসি বলেন শিশুদেরকে  সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হলে  তাদেরকে  বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। তাদেরকে একটি বৈষম্যহীন সমাজ উপহার দিতে হবে। সেলিনা হোসেন বলেন একটি শিশুর স্বপ্নের জগত ও ক্ষেত্র প্রস্ত্তত করে দিতে হয়  পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রকে। বাংলাদেশ সরকার  ও  শিশু বান্ধব  সংস্কৃতিক,  সামাজিক ও বিজ্ঞান মনষ্ক নানা কর্মসূচি প্রনয়ন করছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সহ আমেরিকা, ফিলিপাইন, ইন্ডিয়া, স্পেন ,  তুরস্ক, ইয়েমেন ও শ্রীলংকার  শিশুরা অংশগ্রহন করে এবং  সাংস্কৃতিক  অনুণ্ঠানে অংশগ্রহন করে। তাছাড়া বিশ্ব শিশু দিবস উপলক্ষে বংলাদেশ শিশু একাডেমী বিভিন্ন প্রতিযোগিতার  আয়োজন করে  এবং  বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার  তুলে দেন  প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার ১৪২০ বঙ্গাব্দ শিশু সাহিত্যিক  রফিকুল  হক  এবং  ১৪২১ বঙ্গাব্দ  শিশু সাহিত্যিক ঝর্ণা  দাস পুরকায়স্থকে  আনুষ্ঠানিক ভাবে  অর্পন কার হয়। কবি আসলাম সানিকে  তার প্রিয়  বাংলাদেশ  বইয়ের  জন্য  প্রদান করা  হয়  ১৪১৬ বঙ্গাব্দের  অগ্রনী ব্যাংক  বাংলাদেশ শিশু একাডেমী  শিশু সাহিত্য পুরস্কার।

 

 

         ( মোহাম্মদ আবুল খায়ের )

  জনসংযোগ কর্মকর্তা

  মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

                                                  ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮