Wellcome to National Portal
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যথাযথ মর্যাদায় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত


প্রকাশন তারিখ : 2017-09-27

কালীগঞ্জ, গাজীপুর, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

আজ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত বিশিষ্ট রাজনীতিক, মুক্তিযুদ্ধের নিবেদিত সংগঠক, শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। ১৯৮৪ সালের ২৭ শে সেপ্টেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসক হোসাইন মোঃ এরশাদের পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সারাদেশে ২২ দল আহুত হরতালের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় এরশাদ সরকারের লেলিয়ে দেয়া কতিপয় সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালালে ঘটনাস্থালেই তিনি শাহাদৎ বরণ করেন। তাঁর শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে আজ সকালে বনানী কবরস্থানে শহীদ ময়েজউদ্দিনের সমাধিতে আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য ও ডাকসু’র সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন সবুজ, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি ভূইয়া, কালীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন পলাশ, বিশিষ্ট আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সহ গাজীপুর ও কালীগঞ্জের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

 

তাছাড়া শহীদের স্মরণে কালীগঞ্জের তুমুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, কালীগঞ্জ পৌরসভায় উপজেলা আওয়ামীলীগ এবং পৌর আওয়ামীলীগ, মোক্তারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, কালীগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরশাদী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও গণভোজের আয়োজন করে।

 

শহীদ ময়েজউদ্দিন বর্তমান গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার বড়হরা গ্রামে জন্মেছিলেন ১৯৩০ সালের ১৭ মার্চ, তার পিতার নাম মোঃ ছুরত আলী, মাতার নাম শহরবানু। তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির পিতা। তিনি ঐতিসাহিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহবায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। মোহাম্মদ ময়েজউদ্দিন উল্লেখযোগ্য সময় ধরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কালিগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক কাজে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যমত্ম বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতি (এফপিএবি)’র মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শহীদ ময়েজউদ্দিন-এর রক্তের সিঁড়ি বেয়ে ধাপে ধাপে গড়ে উঠা প্রবল গণআন্দোলনে অবশেষে সামরিক শাসক ও শাসনের পতন ঘটে। গণতন্ত্রের জয় হয়। শহীদ ময়েজউদ্দিন একজন দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, প্রজ্ঞাবান রাজনীতিক, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও সাধারণ জনকল্যাণে নিবেদিত প্রাণ মানুষ হিসেবে ইতিহাসে এবং মানুষের হৃদয়পটে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে গৌরবময় ভূমিকা পালন করায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্বোচ্য রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘‘স্বাদীনতা পদক’’-এ ভূষিত করেন।

 

 

       (মোহাম্মদ আবুল খায়ের)

জনসংযোগ কর্মকর্তা

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়

ফোনঃ ৯৫৪৫২২৫, মোবাইলঃ ০১৭১৬-০৬৬৮৮৮